কুড়ি বছর পর গ্রামের বাড়ি ফিরে আসে লোকটা। এ বাড়ির প্রতি ইঞ্চি মাটি তার চেনা। পুকুরের ঘাট, কাঁঠাল গাছ, ভুতুড়ে তালগাছ ছাপিয়ে তার পাশে হাজির হন পরলোকগত ফুফু। মা ও ফুফুর মাঝে শৈশব নিয়ে কাড়াকাড়ির ভেতরেই হাজির হন আব্বাস ভাই।
আব্বাস ভাইকে গুম করে খুন করেছে হাসিনা বাহিনী। কেননা, আব্বাস ভাই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করত। লোকটার কৈশোরের বন্ধু এসে জানায়, এই খুনের বদলা নেবে। কিন্তু লোকটা জানিয়ে দেয়, আব্বাস ভাইয়ের রাজনীতি সে আর করে না। আসলেই কি করে না? তাহলে কেন খোঁজে আব্বাস ভাইর খুনিদের?
জামায়াতে ইসলামীর ধর্মতাত্ত্বিক ত্রুটি, ফ্যাসিনার আমলে গুম-খুনের সর্বগ্রাসী রূপ, পৌরাণিক গাজি কালুর আখ্যানের মধ্যেও ঝলমল করে ওঠে নওরিন। গল্পের নায়িকাকে আমরা খুব বেশি না পেলেও উপস্থাপনার লাবণ্যে সে যেন হয়ে ওঠে অনন্য।
তারপরও কথা থাকে। কথা যে থাকে, তা বুঝতে পারি আধ্যাত্মিক জগতে আব্বাস ভাইয়ের সাথে লোকটার কথোপকথনে। আমরা দুনিয়ার শেষ দিনগুলোয় পৌঁছে গেছি। সত্য-মিথ্যার চূড়ান্ত লড়াই সমাগত। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আব্বাস ভাই যেন এ কথাগুলো বলার জন্যই জাগতিক সকল নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেখা করেন লোকটার সাথে।
তারপর কী? জানতে হলে পড়তে হবে দিপ্র দ্য গ্রেট হাসানের উপন্যাস অ্যাপোক্যালিপস।
Reviews
There are no reviews yet.